• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিরামপুরে বোরো ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা 

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪  

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকরা জমিতে বোরো ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর ভালো ফলন ও ভালো দামও পেয়েছিলেন এ উপজেলার কৃষকরা। ধানের দাম বেশি থাকায় এবার বোরো ধানের চাষ বাড়িয়েছেন কৃষকরা। তাই বোরো ধান পরিচর্যায় আগেভাগে মাঠে নেমেছেন তারা। প্রধান আবাদি ফসল নানা জাতের বোরো ধান চারা কৃষকরা পরিচর্যা করছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠেই এ ধানের আবাদ করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের কামরুজ্জামান জানান, গত বছর ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছরেও বোরো ধানের ভালো দামের আশায় বোরো ধানের চাষ করছি। এখন ধানের জমিতে ক্ষেত পরিচর্যায় প্রায় ব্যস্ত সময় পার করছি। ধানের আগাছা দমন বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ ও ফলন বৃদ্ধির জন্য আগাছা অপসারণ সার বপন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি।

বিনাইল ইউনিয়নের খিয়ার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক আবু তাহের জানান, এবার আমি ২৫বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। এখন আগাছা পরিষ্কার করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছি। ধানের চারাগাছ ভালো হয়েছে। পোকা ও পচন রোগ প্রতিরোধে কীটনাশকও প্রয়োগ করেছি। এবার সার পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। তাই জমিতে চারা আগাম লাগানো হয়েছে। আগাম পরিচর্যা শুরু করেছি। আশা করি এ বছর ভালো ফলন পাব।

দিওড় ইউনিয়নের ব্যালসিরা গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন জানান, বর্তমান সরকার আমলে সারের অভাব দূর হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে উপজেলার কৃষি অফিস থেকে আমাদের সার্বিক সহায়তা করে আসছে। তাই গতবারের চেয়েও বর্তমান বোরো ধান চাষে সেই ভালো ফলনের আশা করছি।

বিরামপুর উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ জানান, গত বছরের চাইতে এবার উপজেলায় বোরো চাষ বেশি হয়েছে। বোরোর জাতের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-১০০, ব্রি-২৮, ২৯, ৫০, ৫৮, ৭৪, ৮১, ৮৮, ৯২, জিরাশাইল, শঙ্কর, এসিআই-২, মদিনা ও স্থানীয় জাতের গুটি স্বর্ণাসহ বেশ কয়েক জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ১৫ হাজার ২৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৩ শতক জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১৫হাজার ২১৫হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, এ বছর উপজেলায় ১ লাখ ১৪ হাজার ২১১ বিঘা জমিতে ইরি-বোরোর চাষ হয়েছে। গত বছর ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৮১ বিঘা জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবছর বোরোর চাষ বেশি হয়েছে। কৃষকরা আগাম বোরের পরিচর্যা শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদী।
(কালবেলা)

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –